হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট – FosholiBD
Original price was: 560.00৳ .500.00৳ Current price is: 500.00৳ .
Original price was: 560.00৳ .500.00৳ Current price is: 500.00৳ .
হিমালয়ান পিংক সল্টের ইতিহাস :
হিমালয়ান সল্ট বা পিঙ্ক হিমালয়ান ক্রিস্টাল সল্ট বা গোলাপী লবণের কথা অনেকেই শুনে থাকবেন।হিমালয়ান সল্ট পৃথিবীতে পাওয়া সবচেয়ে বিশুদ্ধ লবণ যা বিষাক্ত ও দূষিত পদার্থ মুক্ত। এটি এক প্রকার খনিজ লবণ । এটি ভারত থেকে চীণের যে প্রসারিত পর্বতশ্রেণী রয়েছে তার মধ্যে পাওয়া যায়।। এর মধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত “হিমালায় পর্বত” ও অন্তভুক্ত আছে। হিমালয় পর্বতশ্রেণী থেকে এই লবণের দেখা পাওয়া যায় বলে একে হিমালয়ান সল্ট বলা হয়। এতে গোলাপী,সাদা এবং লাল রং এর খনিজ উপাদান বিদ্যমান থাকায় এর রং গোলাপী দেখায়। এর পুষ্টিগুণ সাধারণ লবণের থেকে অনেক বেশী।এই লবণ হিমালয় পর্বত থেকে তৈরি হয় এবং সেখানে এটি “হোয়াইট গোল্ড” নামে সুপরিচিত। এই লবণের অনন্যতার কারণ হচ্ছে এর গোলাপি বর্ণ যা আয়রন অক্সাইডের উপস্থিতির জন্য হয়ে থাকে। একারণে এ লবণকে “পিংক সল্ট” ও বলা হয়।
প্রধানত হিমালয়ান সল্ট সোডিয়াম ক্লোরাইড নিয়ে গঠিত। তবে এতে সালফেট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, কপার, জিংক, সেলেনিয়াম, আয়োডিন এবং ফ্লোরাইডসহ প্রায় ৮০টির মত উপাদান থাকে। এই লবণের খনিজ উপাদানগুলো আঠালো গঠনে থাকে এবং মানুষের শরীরের কোষে খুব সহজেই শোষিত হতে পারে। খনিজ লবণে সমৃদ্ধ হওয়ায় এই লবণ শরীর ও মনের নিরাময়ে বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে।
এই লবণ ঠাণ্ডা, জ্বর, ফ্লু, অ্যালার্জির বেশ কিছু রোগের হাত থেকে বাঁচায়। মাংসপেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ।হিমালায়ান পিংক সল্ট রক্ত চাপ কমায়, ওজন কমায়, ত্বকের সমস্যা কমায়।
হিমালয়ান পিংক সল্টের বিস্ময়কর কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
১। নিম্মমানের সোডিয়ামের পরিমাণঃ
যদিও হিমালয় স্লট আর সাধারণ লবণ একই উপাদান দিয়ে তৈরি তবুও হিমালয়ের ক্রিস্টাল গঠন সাধারণ লবণের তুলনায় বড়। এর মানে হল এতে ১/৪ টেবিল চামচ পরিমাণে কম সোডিয়াম থাকে সাধারণ লবণের তুলনায়।
২। উচ্চ পরিমাণে খনিজঃ
হিমালয়ান সল্ট ৮০+ খনিজ নিয়ে গঠিত যা পৃথিবীর মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। এতে ৮৫% থাকে সোডিয়াম ক্লোরাইড আর ১৪% থাকে সালফেট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, খাবার সোডা, বরিক অ্যাসিডের সল্ট, স্ট্রনশিয়াম এবং ফ্লোরাইড মত খনিজ পদার্থ। এই সকল খনিজ়ের নিজস্ব কিছু গুণ আছে যা হিমালয়ান সল্টের মধ্যে ও বিদ্যমান। খনিজের গুণাবলী-
হাড় শক্তিশালীকরণ
নিম্ন রক্তচাপ দূরীয়করণ
মাইগ্রেইনের ব্যথা দূরীকরণ
হজমশক্তী বাড়ানো
পেশী ব্যাথারোধ
কোষের ভিতর এবং বাইরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে
শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখে
একটি ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য তৈরি
ওজন হ্রাসে সাহায্য করে
রক্তচাপ কমায়: এই লবণ টেবল সল্টের বদলে খেলে রক্তচাপ কমে।
ওজন কমায়: এই লবণ দেহে ডাইজেস্টিভ জুস উৎপন্ন করে। যা খুব তাড়াতাড়ি খাবার হজম হতে সাহায্য করে। ফলে কমে অতিরিক্ত ওজন।
শ্বাসকষ্ট: শ্লেষ্মা কাটাতে সাহায্য করে। ফলে শ্বাসকষ্ট হলে উপশম দেয় হিমালায়ান পিংক সল্ট।
হৃদপিণ্ড: হিমালায়ান পিংক সল্ট রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে রক্তচাপ কমে এবং ভাল থাকে হার্ট।
ডায়াবেটিস: রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখে সৈন্ধব লবণ। ফলে ডায়াবেটিস কমাতে ডায়েটে টেবল সল্টের বদলে রাখতেই পারেন এই সি সল্ট।
অবসাদ: এই লবণ দেহে সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন নামের দু’টি হরমোন ক্ষরণ করে। যা অবসাদ ও কাটাতে সাহায্য করে।
যেসব কাজে ব্যবহার করতে পারেন:
দৈনন্দিন রান্নার কাজে
প্রতিদিনের রান্নায় সাদা লবণের পরিবর্তে এই লবণ ব্যবহার করুন। তবে সাদা লবণের চেয়ে কিছুটা কম পরিমাণে ব্যবহার করুন।
খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিকরণ
বিভিন্ন খাবারের উপর অল্প পরিমাণে এই লবণ ছিটিঁয়ে দিন এবং দেখুন খাবারের স্বাদের কি আমূল পরিবর্তন আসে। হিমালয়ান লবণ ফ্রুট সালাদ,সুশী, ভেজিটেবল সালাদ, বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করা যায়। লেবুর সরবত বা তেতুঁলের সরবতের মধ্যে ব্যবহার করুন এই লবন, এটি আপনার খাবার মজাদার করার সাথে সাথে খাবারকে করবে স্বাস্থ্যকর। সকালে খালিপেটে এই জলের উপকারিতা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
স্নানে
শুনে অবাক হলেও স্নানেও এই লবণ ব্যবহার হয়! বাথটব বা বালতির পানিতে এক টুকরো হিমালয়ান লবণের চাক ছেড়ে দিন। এটি মাংস পেশীকে রিল্যাক্স করে। প্রাকৃতিকভাবে এতে রয়েছে পুষ্টি উপাদান যা ত্বকের চামড়া কুঁচকানো দূর করার সাথে সাথে মন ও শরীরকে রাখে সজীব আর প্রাণবন্ত।
মাইগ্রেইনের ব্যাথা দূর করার জন্য
১ কাপ পানিতে ২ চা চামচ হিমালয়ান লবন, ২ চা চামচ লেবুর রস ও সামান্য কুড়ানো লেবুর খোসা একসাথে মিশিয়ে পান করুন এবং দেখুন কিভাবে এক নিমিষে দূর হয়ে যায় আপনার মাইগ্রেইনের ব্যাথা।
হিমালয়ান সল্টের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।
১। শরীরের তরলের ভারসাম্য রক্ষা করেঃ
হিমালয়ান পিংক সল্টে বিভিন্ন ধরণের ইলেক্ট্রোলাইট থাকে যা শরীরের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরের কোষগুলোর কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই লবণে উপস্থিত প্রধান ইলেক্ট্রোলাইটগুলো হচ্ছে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্লোরাইড। এই ইলেক্ট্রোলাইটগুলো পানির চেয়েও দ্রুত শরীরে শোষিত হয়। একটি কাঁচের জারে ১ ইঞ্চি পরিমাণ হিমালয়ান ক্রিস্টাল সল্ট নিন। এর মধ্যে ২-৩ ইঞ্চি পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ঢেকে রাখুন সারারাত। সকালে এই দ্রবণটি থেকে ১ চা চামচ দ্রবণ নিয়ে ১ গ্লাস বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়ে পান করুন। তবে এই দ্রবণটি তৈরি করার সময় ধাতব ঢাকনা বা চামচ ব্যবহার করবেন না।
২। শরীরকে বিষমুক্ত হতে সাহায্য করেঃ
হিমালয়ান সল্ট গোসলের পানিতে ব্যবহার করলে শরীরের কোষগুলো পুনরুজ্জীবিত ও বিষমুক্ত হয়। এই লবণের খনিজ উপাদানগুলো পানিতে স্থানান্তরিত হয়। তাই যখন এই পানি দিয়ে গোসল করা হয় তখন শরীরের কোষ ও রক্তস্রোত থেকে বিষাক্ত পদার্থ বাহির হয়ে যায়।
৩। পরিপাক নালীকে পরিষ্কার করেঃ
প্রাকৃতিকভাবে পরিপাক নালীকে পরিষ্কার হতে সাহায্য করে পিংক সল্ট। এটি জোলাপ হিসেবে কাজ করে এবং পরিপাক তন্ত্রের জমে থাকা টক্সিনকে বর্জ্য পদার্থ হিসেবে বাহির হয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করে।
৪। শরীরের pH এর ভারসাম্য রক্ষা করেঃ
হিমালয়ান সল্ট শরীরের ক্ষারীয় অবস্থা বজায় থাকতে সাহায্য করে। এটি দেহের তরলের হাইড্রোজেন আয়নের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সীসা, মার্কারি ও আর্সেনিকের মত ভারী ধাতু শরীর থেকে বাহির করে দিতে সাহায্য করে।
৫। শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে মুক্তি দেয়ঃ
সাইনুসাইটিস, অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস বা অ্যালার্জি থেকে নিরাময়ে সাহায্য করে হিমালয়ান সল্ট। শ্বসনতন্ত্রকে পরিষ্কার হতে ও ক্ষতিকর পদার্থ বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে। এই লবণের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান অতিরিক্ত মিউকাসকে নরম ও আলগা হতে সাহায্য করে এবং মিউকোসিলিয়ারি পরিবহণের গতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই লবণের উপাদানগুলো ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্থ টিস্যুকে নিরাময়ে সাহায্য করে। গরম পানিতে পিংক সল্ট দিয়ে এর ভাপ নিন।
এছাড়াও হিমালয়ান সল্ট দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে, ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে, পেশীর সংকোচন প্রতিরোধ করে, ত্বকের প্রদাহ কমতে সাহায্য করে এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : পণ্যের মান নিয়ে কোন অভিযোগ থাকলে পণ্য পরিবর্তন অথবা মূল্য ফেরত যোগ্য।আপনার যে কোন পরামর্শ বা উপদেশ সাদরে গ্রহন করা হবে। যা নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
Customer reviews
Reviews
There are no reviews yet.
Write a customer review